13%
ছাড়- Home
- /
- দেশাল-বাজার
- /
- দেশি ডিম
বিস্তারিত
হাসের ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাদ্য যা স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে হাসের ডিমের উপকারিতা ও বিবরণ দেওয়া হলো:
হাসের ডিমের পুষ্টিগুণ
হাসের ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বিদ্যমান। প্রতি ১০০ গ্রাম হাসের ডিমে সাধারণত থাকে:
- ক্যালোরি: ১৮৫-২০০
- প্রোটিন: ১৩-১৪ গ্রাম
- চর্বি: ১৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: ১-২ গ্রাম
- ভিটামিন এ, ডি, ই এবং বি১২: প্রচুর পরিমাণে
- লুটিন ও জেক্সানথিন: যা চোখের জন্য ভালো।
- আয়রন ও সেলেনিয়াম: রক্ত গঠনে সহায়ক।
হাসের ডিমের উপকারিতা
১. উচ্চ পুষ্টিমান
হাসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. চোখের যত্নে সহায়ক
লুটিন ও জেক্সানথিন উপাদান চোখের রেটিনার সুরক্ষা দেয় এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে।
৩. মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক
হাসের ডিমে থাকা কোলিন উপাদান মস্তিষ্কের উন্নয়ন ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ
হাসের ডিম উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।
৫. হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা
ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ভিটামিন ও মিনারেলের কারণে এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
বিবরণ ও ব্যবহারের সতর্কতা
- হাসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় আকারে বড় এবং এর কুসুম বেশি পরিমাণে চর্বি সমৃদ্ধ।
- কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে সালমোনেলা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
- ডিম অতিরিক্ত সিদ্ধ করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
হাসের ডিম কীভাবে খাওয়া উচিত?
- সিদ্ধ, ভাজা বা ওমলেট করে খাওয়া যায়।
- সালাদ বা অন্যান্য খাবারে যোগ করা যায়।
- যারা কোলেস্টেরল সমস্যায় ভুগছেন, তারা কুসুমের পরিমাণ কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
হাসের ডিম সঠিক পরিমাণে নিয়মিত খেলে শরীরের সার্বিক সুস্থতায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো উচিত।
Reviews (0)
Get specific details about this product from customers who own it.
This product has no reviews yet. Be the first one to write a review.